অটোরিক্সার দখলে ‘নাঃগঞ্জ শহর’

বাংলাবাজার বার্তা ডেস্ক :

প্রকাশ: ০০:৫৫, ১৯ মে ২০২৫

অটোরিক্সার দখলে ‘নাঃগঞ্জ শহর’

অটোরিক্সার দাপটে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে চলাচল করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। রাস্তায় নামলেই শোনা যায় বা স্বচক্ষে দেখা যায় দূর্ঘটনা। প্রতিনিয়ত একটির সাথে আরেকটির ঠোকাঠুকি। পেছন থেকে ধাক্কা মারা। পায়ে হাঁটার গতির রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে অটো চালানোর কারণে দূর্ঘটনায় অটোর ধাক্কা কিবা অটোর নিচে চাপা পড়ছে কোমলমতি শিশু থেকে শুরু করে বয়ষ্ক লোকেরা। অনেকের বুকের মানিক কেড়ে নিয়েছে বেপরোয়া অটো। কত মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করতে বাধ্য হয়েছেন। তবুও নারায়ণগঞ্জ জেলাজুড়ে প্রতিমূহুর্তে চোখে পড়ে অটোরিক্সার দাপট।

এই অটো নিয়ন্ত্রণের একটি ফর্মুলা বহুদিন ধরেই আলোচিত নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যমকর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচিত হয়ে আসছে। ফর্র্মূলাটির মূলকথা হচ্ছে, অটোক্সিার এলাকাভিত্তিক কালার করা থাকবে। এলাকা ভিত্তিক এই কালার হবে আলাদা আলাদা। একেক এলাকার অটোরিক্সার একেক কালার থাকবে। যেমন: নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকার অটোরিক্সার কালার হবে হলুদ। কাশীপুরের অটোরিক্সার কালার হবে নীল।

দেওভোগ পানির ট্যাংকী এলাকার অটোরিক্সার কালার হবে কালো। নিতাইগঞ্জের অটোরিক্সার কালার হবে সাদা। সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানতলী এলাকার অটোরিক্সার কালার হবে সবুজ। চিটাগাং রোডের অটোরিক্সার কালার হবে লাল। অর্থাৎ এক এলাকার কালারের সাথে অন্য এলাকার অটোরিক্সার কালার কোনভাবেই মিলবেনা। এই কালার করে দিবে প্রশাসন। জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, নাসিক কর্তৃপক্ষ  ও অটোরিক্সা মালিকসমিতি এবং নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে বিভিন্ন এলাকার অটোরিক্সার নির্দিষ্ট কালার করে দিলে-নারায়ণগঞ্জ শহরে অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হবে।

নিয়ন্ত্রণহীন একটা অটো শহরের প্রাণ রোধ করতে পারে—যদি তার পেছনে থাকে ট্রাফিকের নীরব সম্মতি। এমন বিরূপ মন্তব্য বোদ্ধামহলের। তাদের মতে, চাষাঢ়া, ২নং রেলগেট, কলেজ রোড, টানবাজার—এইসব জায়গা নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে শুধুই কোনো স্থানবাচক নাম নয়, বরং এসব যেন হয়ে উঠেছে চলাচলের চরম যন্ত্রণা আর ক্লান্তি বহনের প্রতীক। কারণ একটাই: অটোর দখল। এক সময় রিকশার রাজত্ব থাকলেও, এখন তা একপ্রকার ‘ড্রাইভিং থ্রু’ দুঃস্বপ্নে রূপ নিয়েছে—যার নিয়ন্ত্রক অটোরিকশা।

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন