করোনা খানপুরে ও সার্বিক চিকিৎসা চলবে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে
নাঃগঞ্জে করোনা শনাক্ত হয়নি
বাংলাবাজার বার্তা ডেস্ক :
প্রকাশ: ২২:৫৯, ১৮ জুন ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ জেলায় এখনো কোন করোনা রোগী শণাক্ত হয়নি। নারায়ণগঞ্জবাসীকে এবারের করোনা নিয়ে অভয় বাণী শোনালো জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এএফএম মুশিউর রহমান ও খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের সুপারেন্টেন্ডেন্ট ডাঃ আবুল বাশার বলেন, এবারের করোনার ভ্যারিয়েন্ট নতুন ধরনের। তবে ভয়ের কোন কারণ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মানলেই চলবে। যারা তিন চারদিন ধরে জ্বর ও শরীর ব্যাথায় ভুগছেন-খানপুর হাসপাতালে এসে ডাক্তার দেখাবেন। এই হাসপাতালেই করোনা পরীক্ষা করা হবে। মঙ্গলবার থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। এ দিন খানপুর হাসপাতালে ৮ জন এর করোনা টেস্ট করা হয়। করোনা ধরা পড়েনি। গতকাল বুধবার ২ জনের টেস্ট হয়েছে। ফলাফল নেগেটিভ। ডাক্তারের পরীক্ষার পর গড়ে দৈনিক ৮/১০ জন রোগীকে করোনা টেস্ট করানো হচ্ছে। খানপুর হাসপাতালে ৩০০ র্যাপিড অ্যান্টিজেন কীট আছে। পিসিআর ও চালু হয়েছে।
করোনা রোগীরা জানলেও নতুন করে অনেকের প্রশ্ন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে করোনা টেস্ট হবে কিনা। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় চিকিৎসা কার্য্যক্রম চলবে খানপুর হাসপাতালে। আর সার্বিক চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ( ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে।
খানপুর হাসপাতালের চিকিৎসকগণ জানান, জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টের রোগী বাড়ছে। এমনিতেই চলছে ভারী বর্ষণ। মানুষ বাইরে বের হলেই ভিজছে বা বৃষ্টির পানি মাড়িয়ে চলাচল করছে। মৌসুমী আবহাওয়াগত কারনেই বর্ষায় সর্দি-জ্বর বাড়ে। এরই মধ্যে এসে গেল নতুন করোনা। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নইলে সমস্যা। করোনা আক্রমণ করে বসবে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০০ শয্যা হাসপাতালে কম সময় ও স্বল্প খরচে করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) ডা. আবুল বাশার বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় কেমিকেল ও রিএজেন্ট পেলে পিসিআর ল্যাবও চালু করা হবে। গুরুত্বর কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী আসলে তার জন্য আইসোলেটেড বেডও রেডি করা হয়েছে। তবে আইসিইউ বিভাগে জনবল সংকট রয়েছে। বর্তমানে সরকার ডিএনসিসি মার্কেট হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণা করেছে।