এবার রায় দ্রুত কার্যকর হোক : এড.সাখাওয়াত

বাংলাবাজার বার্তা ডেস্ক :

প্রকাশ: ০১:০৩, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

এবার রায় দ্রুত কার্যকর হোক : এড.সাখাওয়াত

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন নিয়ে শুরু থেকে আজো প্রবলভাবে সোচ্চার রয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি উচ্চকিত কন্ঠে বলেন, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের তৎকালীন এমপি ও গডফাদার শামীম ওসমান এবং তার দোসর কুখ্যাত সন্ত্রাসী নূর হোসেন এই সাত খুন ঘটিয়েছে। তারা প্রশিক্ষিত বাহিনী ভাড়া করে নজরুল ইসলাম, চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করে হত্যা করে। নারায়ণগঞ্জবাসী এ ঘটনার সাক্ষী। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার নানা টালবাহানা করেছে। এখন সেই সরকারের পতন হয়েছে। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের দাবি- দ্রুত রায় কার্যকর করা হোক।

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের আসামিদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আইনজীবী ও নিহতদের স্বজনরা।  রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে নিহতদের স্বজন ও ছাত্রজনতাও অংশ নেন।

অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান আরও বলেন, তাদের গুমের সময় আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম, তখন ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার আমাদের দোষারোপ করেছিল। পরবর্তীতে লাশ উদ্ধার হলে বিভৎস দৃশ্য দেখে পুরো দেশ কেঁদেছিল। সেই সময় হাসিনা সরকার শামীম ওসমানের নেতৃত্বে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে।

সাখাওয়াত হোসেন খান দাবি করেন, আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় এখনও রায় কার্যকর হয়নি। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার নানা টালবাহানা করেছে। এখন সেই সরকারের পতন হয়েছে। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের দাবি- দ্রুত রায় কার্যকর করা হোক।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লাসহ অনেকে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নজরুল ইসলাম ও চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহরণ হন। তিন দিন পর ছয়জন এবং পরে একজনের মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় দুইটি মামলা হয়।

বিচারিক আদালত ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি রায় দেন। রায়ে ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০১৮ সালের ২২ আগস্ট হাইকোর্ট ১১ জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন