ফতুল্লায় যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ আহত ৫, আটক ১২
নাঃগঞ্জে হাটের ইজারা নিয়ে সংঘর্ষ
বাংলাবাজার বার্তা ডেস্ক :
প্রকাশ: ২২:১২, ২৮ মে ২০২৫ | আপডেট: ২২:১৪, ২৮ মে ২০২৫

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে পশুর হাটের ইজারা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা। বুধবার দিনভর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। সংঘর্ষে ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আরিফ প্রধানসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১২ জনকে আটক করেছে।
ঘটনা শুরু হয় সকাল ১০টায়, যখন সদর উপজেলার অন্তর্গত ১৫টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের দরপত্র বিক্রি শুরু হয় ইউএনও কার্যালয় প্রাঙ্গণে। প্রত্যাশিতভাবেই দরপত্র নিতে হাজির হন স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের অনুসারীরা। সকাল সাড়ে ১১টায় কয়লাঘাট পশুর হাটের দরপত্র সংগ্রহ করে কার্যালয়ের বাইরে বের হচ্ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতা লাভলু। তখনই গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রুবেল মেম্বারের অনুসারীরা তার উপর হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, পুলিশের সামনেই তাকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং তার হাত থেকে দরপত্র ছিনিয়ে নেয়া হয়।
এই ঘটনার রেশ না কাটতেই দুুপুর ১২টায় একই হাটের দরপত্র নিয়ে কার্যালয় ছাড়েন ব্যবসায়ী জাকির। তাকেও ঘিরে ফেলে রুবেল মেম্বারের অনুসারীরা। তার উপরও হামলা হয় এবং তার কাছ থেকেও দরপত্র ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কয়লাঘাট হাটটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। এই হাটটি ঘিরে প্রতিবছর লক্ষাধিক টাকার লেনদেন হয়, ফলে এখানে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক রেষারেষি চরমে পৌঁছেছে। বিকেল চারটায় আবারও সংঘর্ষ বাঁধে। মূষলধারে বৃষ্টির মধ্যেও রুবেল মেম্বারের অনুসারীরা পুনরায় হামলা চালায় যুবদল নেতা সালাউদ্দিন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আরিফ প্রধানের উপর। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কয়লাঘাট হাট নিয়ে একটি পক্ষ প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।’